হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ : এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Geo Answer Hub এই ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেলগুলো যাচাই করে এবং জিওগ্রাফি বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা লেখা হয়।
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ :
[1] করি বা সার্ক: উঁচু পাবর্ত্য অঞ্চলে হিমবাহ প্রবাহ পথে উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় পাহাড়ের খাঁজে অর্ধগোলাকৃতি গহ্বর বা হাতলযুক্ত ডেক চেয়ার বা অ্যাম্পিথিয়েটারের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে। এই ধরনের ভূমিরূপকে ইংল্যান্ডে করি এবং ফ্রান্সে সার্ক বলে। বরফযুক্ত সার্ক অনেকটা আরাম কেদারার মতো দেখতে। প্রতিটি সার্কের তিনটি অংশথাকে। এগুলি হল-
[i] মাথার দিকের খাড়া প্রাচীর। [ii] মধ্যভাগে বেসিন বা খাত এবং [iii] প্রান্তভাগে ঢিবির মতো উঁচু অংশ। করি বা সার্ক থেকে হিমবাহ সরে গেলে এর বেসিনে অবশিষ্ট বরফ গলে গিয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে করি হ্রদ বা টার্ন বলে। অ্যান্টার্কটিকার ওয়ালকট সার্ক পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম (16 কিমি চওড়া ও 3000 মিটার উচ্চ) সার্ক।
[2] অ্যারেট: দুটি সার্ক-এর মধ্যবর্তী তীক্ষ্ণশীর্ষ বিশিষ্ট লম্বাটে শৈলশিরাকে অ্যারেট বা এরিটি বলে। এরিটির শীর্ষদেশে অনেকটা করাতের মতো এবড়ো-খেবড়োভাবে খাঁজ কাটা থাকে। পাশাপাশি অবস্থিত একাধিক সার্ক বা করির মস্তকদেশ ক্ষয়ের মাধ্যমে প্রসারিত হলে এরিটি গঠিত হয়।
[3] পিরামিড চূড়া: বিভিন্ন দিক থেকে তিন-চারটি সার্ক মস্তক দিকে প্রসারিত হয়ে একটি বিন্দুতে মিলিত হলে এগুলির মধ্যবর্তী উঁচুভূমিকেপিরামিডের শীর্ষের মতো দেখায়। এই উঁচুভূমিকে পিরামিড চূড়া বা হর্ন বলে। আল্পসের ম্যাটারহর্ন চূড়া, বদ্রীনাথের নিকট নীলকণ্ঠ, নেপালের মাকালু এর উদাহরণ।
শেষ কথা
আমাদের ভূগোল বিষয়ক ক্লাস ১০, ১১, ১২ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলোর answer দেওয়া হয় একদম বিনামূল্যে। তাই আপনারও আপনার বন্ধুদের ওয়েবসাইট টা শেয়ার করে তাদের উপকার করতে পারেন।