হিমবাহের প্রকারভেদ : এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Geo Answer Hub এই ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেলগুলো যাচাই করে এবং জিওগ্রাফি বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা লেখা হয়।
হিমবাহের প্রকারভেদ :
হিমবাহ বিশারদ বিজ্ঞানী অ্যালম্যান অবস্থান অনুসারে হিমবাহকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন, যথা-
[1] মহাদেশীয় হিমবাহ: মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যখন হিমবাহ অবস্থান করে তখন তাকে মহাদেশীয় হিমবাহ বলে। কুমেরু মহাদেশের ল্যামবার্ট হিমবাহ পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ।
[2] পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ: পর্বতের উচ্চ অংশে জমাটবাঁধা তুষার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পর্বতের ঢাল বরাবর নীচের দিকে প্রবাহিত হলে তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে। আলাস্কার হাবার্ড (2 কিমি চওড়া, 100 মি পুরু) পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহ। কারাকোরাম পর্বতের সিয়াচেন হিমবাহটি ভারতের দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ।
[3] পাদদেশীয় হিমবাহ: উপত্যকা হিমবাহ যখন নীচে নামতে নামতে পর্বতের পাদদেশে বিস্তৃত হয় তখন তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে। পাদদেশীয় হিমবাহের অগ্রভাগটি প্রস্থে বিস্তৃত হয়, একে বরফের লোব বলে। আলাস্কার ম্যালাসপিনা (65 কিমি চওড়া ও 45 কিমি লম্বা) পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহ। পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহ জ্যাকোবসাঁভো ইসব্রে। এটি প্রতিদিন প্রায় 40 মি পথ প্রবাহিত হয়।
শেষ কথা
আমাদের ভূগোল বিষয়ক ক্লাস ১০, ১১, ১২ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলোর answer দেওয়া হয় একদম বিনামূল্যে। তাই আপনারও আপনার বন্ধুদের ওয়েবসাইট টা শেয়ার করে তাদের উপকার করতে পারেন।