হিমবাহের অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ : এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Geo Answer Hub এই ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেলগুলো যাচাই করে এবং জিওগ্রাফি বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা লেখা হয়।
হিমবাহের অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ :
[1] গ্রাবরেখা: হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় এর সাথে যেসব পাথরখণ্ড, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি বাহিত হয়, হিমবাহ গলতে আরম্ভ করলে সেগুলি হিমবাহের প্রবাহপথের আশেপাশে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হতে থাকে। এই অসংবদ্ধ মিশ্র পদার্থের সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বা মোরেন বলে। গ্রাবরেখাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়-
- [i] গ্রাবরেখা হিমবাহের দু-পাশে সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
- [ii] হিমবাহ বাহিত পদার্থসমূহ সামনের দিকে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
- [iii] দুটি হিমবাহ দু-দিক থেকে এসে একস্থানে মিলিত হলে উভয়ের মাঝখানে বাহিত পদার্থ জমা হয়ে যে সরু গ্রাবরেখা তৈরি হয় তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
- [iv] হিমবাহের নীচে অর্থাৎ ভূমিতে ক্ষয়জাত বা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে গ্রাব- রেখা তৈরি হয় তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ,পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের দক্ষিণাংশে এবং কানাডায় যথেষ্ট সংখ্যক গ্রাবরেখা দেখতে পাওয়া যায়।
[2] ড্রামলিন: হিমবাহবাহিত পাথরখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা একত্রে এমনভাবে সারিবদ্ধ টিলার আকারে সঞ্চিত হয় যে সেগুলিকে দেখতে উলটানো নৌকা বা চামচের মতো লম্বাটে উপবৃত্তাকার হয়। এইরকম ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলা হয়। বৈশিষ্ট্য:
- [i] ড্রামলিনের উচ্চতা 6 মিটারথেকে 60 মিটার পর্যন্ত হয় এবং দৈর্ঘ্য 2-3 মিটার পর্যন্ত হয়।
- [ii] ড্রামলিনের পৃষ্ঠদেশ মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির হয়।
- [iii] ড্রামলিন অংশে হিমবাহ প্রবাহের দিক অমসৃণ ও এর উলটোদিক মসৃণ হয়।
- [iv] অসংখ্য ড্রামলিন একসঙ্গে থাকলে তাকে ডিম ভর্তি ঝুড়ির মতো লাগে। তাই একে ডিমের ঝুড়ি ভূমিরূপ (Basket of egg topography) বলে। আমেরিকার উত্তরাঞ্চল,উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি স্থানে ড্রামলিন দেখা যায়।
শেষ কথা
আমাদের ভূগোল বিষয়ক ক্লাস ১০, ১১, ১২ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলোর answer দেওয়া হয় একদম বিনামূল্যে। তাই আপনারও আপনার বন্ধুদের ওয়েবসাইট টা শেয়ার করে তাদের উপকার করতে পারেন।